বিশ্বব্যাপী ২০২০ সালে করোনা ভাইরাস মহামারি ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করে সৌদি আরব। দেশটিতে প্রবেশে কড়াকড়ি নিয়ম জারি করা হয়। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে ওই বছর মাত্র ১০ হাজার মানুষকে হজ করার সুযোগ দেয় দেশটি।

তবে মহামারির প্রকোপ কমে আসায় ২০২১ সালে ৫৯ হাজার আর ২০২২ সালে প্রায় ১০ লাখ মানুষ হজ পালনের সুযোগ পান। আর এ বছর করোনার সব বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়— ফলে ধারণা করা হয়েছিল, এবার আগের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ সংখ্যক হাজি হজ করবেন।

এমনকি সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, তাদের প্রত্যাশা এ বছর ২৫ লাখেরও বেশি মানুষ পবিত্র হজব্রত পালন করবেন। যা হবে নতুন ইতিহাস।

তবে যে প্রত্যাশা করা হয়েছিল সেটি পূরণ হয়নি। সৌদি আরবের পরিসংখ্যান ব্যুরো মঙ্গলবার (২৭ জুন) জানিয়েছে, এ বছর ১৫০টিরও বেশি দেশের— ১৮ লাখের বেশি হাজির পদচারণায় মুখরিত হয়েছিল আরাফাতের ময়দান।

সংস্থাটি এ ব্যাপারে বলেছে, এ বছর ১৮ লাখ ৪৫ হাজার ৪৫ জন পুরুষ ও নারী হজ করেছেন। যারমধ্যে বিদেশি ছিলেন ১৬ লাখ ৬০ হাজার ৯১৫ জন। সৌদির হাজি ছিলেন ১ লাখ ৮৪ হাজার ১৩০ জন।
অপরদিকে হাজিদের মধ্যে পুরুষ ছিলেন ৯ লাখ ৬৯ হাজার ৬৯৪ জন। নারী ছিলেন ৮ লাখ ৭৫ হাজার ৩৫১ জন।

এ বছর আরব বিশ্ব থেকে হজ করতে গেছেন ৩ লাখ ৪৬ হাজার ২১৪ জন। এশিয়ার দেশগুলো থেকে গেছেন ১০ লাখ ৫৬ হাজার ৩১৭ জন। আফ্রিকার দেশগুলো থেকে গেছেন ২ লাখ ২১ হাজার ৮৬৩ জন। অপরদিকে ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া এবং অন্যান্য অঞ্চলের ৩৬ হাজার ৫২১ জন হাজি আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত ছিলেন।